বিষেশ প্রতিনিধিঃ
বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ফাতেমা বেগম (১৪) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এতে বাঁধা দিতে গেলে অভিযুক্ত মাকসুদ হাওলাদারের পালিত ক্যাডার বাহিনী ফাতেমার মা,ভাই,বোন ও বোনের জামাইকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে মৃত মনির পোনারের মেয়ে কিশোরী ফাতেমা বেগম ও তার মা ছুফিয়া বেগম সাংবাদিকদের ক্যামারার সামনে জানায়, তারা দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ হাসান নগর ইউনিয়নের খাস মহল এলাকার বেড়ী বাঁধের পাশে একটি ছোট্ট ঘর উত্তোলন করে থাকতে শুরু করে।
তার বাবা মারা যাবার পর ফাতেমার মা ও বড় বোনেরা হাসাননগর বাজারে এলসিএস এর কর্মী হিসেবে বাজার উন্নয়নের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিছু দিন পূর্ব থেকে ফাতেমার রূপ যৌবনের উপর কু-দৃষ্টি পরে হাসাননগর ইউনিয়নের মহিলা সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য সুইটি বেগমের স্বামী এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী প্রভাবশালী মাকসুদ হাওলাদারের। সে ফাতেমাকে ভোগের সামগ্রী বানানোর জন্য মনির পোনারের বাড়ীতে রিতি মতো যাওয়া আসা শুরু করে এবং অসহায় বলে তাদেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগীতার প্রলোভন দেখায়।
এক পর্যায়ে মাকসুদ হাওলাদার ফাতেমাকে ভোগ করার জন্য কু-প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবে ফাতেমা রাজি না হওয়াতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে প্রভাবশালী মাকসুদ হাওলাদার। গত ৭ মে রাত ১০টার দিকে লম্পট মাকসুদ মাদকাশক্ত হয়ে ফাতেমাদের ঘরের দরজায় এসে ত্রান দিবে বলে দরজা খুলতে বলে। তার কথা বিশ^াস করে ফাতেমার অসহায় মা সুফিয়া বেগম দরজা খুললে মাকসুদসহ অজ্ঞাত ৩ জন ওই ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় অজ্ঞাতরা ফাতেমার মাকে অশ্রের মুখে জিম্মি করে এবং মাকসুদ হাওলাদার ফাতেমার রুমে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
ওই মুহুর্তে ফাতেমা ও তার মার ডাক চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা তার ২ বোনও বোনের জামাই ছুটে এসে ফাতেমা ও তার মাকে লম্পটদের হাত থেকে উদ্ধার করে। এক পর্যায়ে ফাতেমার পরিবার লম্পটদের গালীগালাজ করে ঘর থেকে বেড় করে দেয়। এতে প্রভাবশালী মাকসুদ হাওলাদার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ছটফট করতে থাকে।
রাত ১২টার দিকে মাকসুদ হাওলাদার দেশীয় অশ্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার পালিত ৭/৮জন ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ওই ঘরের দরজা ভেঙ্গে পুনরায় প্রবেশ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা ফাতেমাকে তুলি নেয়ার চেষ্টা চালালে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা ফাতেমার মা সুফিয়া বেগম, বোন নাছিমা, রুমা ও বোনের জামাইকে লাঠি ও লোহার রড দ্বারা পিটিয়ে মারাক্তক জখম করে তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। ওই মুহুর্তে তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। স্থানীয় সূত্রে আরো জানাগেছে, এ পরিবারের ছোট মেয়ে ফাতেমা বেগমের উপর মাকসুদ হাওলাদারের মতো তার ছেলে হৃদয় ও তার সহযোগী কবিরেরও কু-দৃষ্টি পরে।
সে বাবার সাথে সাথে নিজেও ফাতেমাকে ভোগ করার জন্য বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তব ও হুমকী-ধামকী দিয়ে ফাতেমাদের আতঙ্কের মধ্যে রাখতো। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী বলে এ ব্যাপারে ফাতেমার পরিবার এলাকার গন্যমান্যদের কাছে কোন বিচার না পেয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাকসুদ হাওলাদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাদেরকে দেহ ব্যাবসায়ী বলে আখ্যা দেন।